শেয়ার বাজারের সাথে আমার সম্পর্কটা দীর্ঘ দিনের। ২০০৯ সালে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম তখন থেকে। প্রায় ১১ বছর থেকে।
প্রথমে খুব ছোট পরিসরে ২ টা বিও একাউন্ট খুলে ব্যবসা শুরু করি। সামান্য কিছু শেয়ার সেকেন্ডারিতে লেনদেন করতাম আর সকল IPO তে অংশগ্রহণ করতাম। তখন IPO ব্যাংকের মাধ্যমে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে জমা দিতে হতো। জমা দেওয়ার প্রায় ১ মাস পরে লটারির ড্র হতো। তখন এতো সব আধুনিক ব্যবস্থাও ছিল না, তাই লটারি অনেক বিলম্ব হতো। কিন্তু এখন আর IPO ব্যাংকে জমা দিতে হয় না, সব কিছু ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে হয়। অনেক ভোগান্তি কম। তবুও সব কিছুর মাঝে একটা কিন্তু আছে। ১১ বছর আগে IPO লটারির ড্র জমা দেবার ১ মাস পরে হতো, বর্তমানেও সেই সনাতন নিয়মেই ১ মাস পরে হয়। কিন্তু কেন? এ প্রশ্নের জবাব কারো জানা নেই। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের শেয়ার বাজারেও প্রতি অনেক অনেক কোম্পানির IPO আসে , যার পরিমাণ আমাদের চেয়েও অনেক বেশি। কিন্তু সেখানে IPO জমা দানের ৭ দিনের মাঝেই লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। তাহলে আমরা এখনো পিছিয়ে কেন?
নিচে একটি উদাহরণ দেওয়া হলো:
লটারির ড্র যদি দ্রুত সময়ে অনুষ্ঠিত হতো, তাহলে সে রিফান্ডের টাকা আমরা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আমার নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারতাম সেকেন্ডারি মার্কেটে, কিছু লাভ করতে পারতাম। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। লটারির ড্র এর দীর্ঘসূত্রতা আমাদেরকে সর্বদা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এদিকে লটারির ড্র এরপর স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদদেন হতেও অনেক সময় নেওয়া হচ্ছে। অভিজ্ঞতায় বলে, বর্তমান ডিজিটাল যুগে কোম্পানি বা ইস্যু ম্যানেজার চাইলেই এ লটারির ড্র দ্রুততর সময়ে করতে পারে, শুধু দরকার একটু সদিচ্ছার। যেহেতু IPO জমা দেবার ৭-১০দিনের মাঝেই Consolidated List প্রকাশিত হয়, সেহেতু কাজ মোটামোটি সম্পন্ন হয়েই যায়। চাইলেই লটারির ড্র দ্রুত করা সম্ভব।
তাই বিএসইসি’র সম্মানিত চেয়ারম্যান শিবলি স্যারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি এ বিষয়ে একটু হস্তক্ষেপ করার জন্য। কমিশনের চেয়ারম্যান অনেক বিচক্ষণ একজন মানুষ, তার নেওয়া সকল পদক্ষেপই বাজারের কল্যাণ বয়ে এনেছে। বিএসইসি যদি এ বিষয়টি একটু বিবেচনা করে IPO লটারির ড্র এবং স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ব্যবস্থা যদি দ্রততম সময়ে করানো হয় তাহলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা অনেক উপকৃত হবে।
লেখক: মো: সোহেল
এডমিন: আইপিও সাকসেস গ্রুপ
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/মাজ./নি