ডেইলি শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের জাহিনটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ তিন বছরের ক্যাশ ডিভিডেন্ড নিয়ে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্যাশ ডিভিডেন্ড না পাওয়া, ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট দিলেও চেক ডিসওনার হওয়া ইত্যাদি অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে জাহিনটেক্স।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কোম্পানিটি গত ৩০ জুন ২০১৫ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড, ৩০ জুন ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং ৩০ জুন ২০১৮ সালে ৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডাদের দ্বারা অনুমোদিত হয়। কোম্পানিটি ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিতরণ করা হয়েছে বলেও স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু এ ৩ বছরের ডিভিডেন্ড থেকে অনেক বিনিয়োগকারী বঞ্চিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগি বিনিয়োগকারী কাজী মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন (বিও নাম্বার: 1301030004161580) বলেন, আমি জাহিনটেক্সের ৩০-০৬-১৫ ইং ৫% ক্যাশ, ৩০-০৬-১৬ ইং ৭% ক্যাশ ৩০-০৬-১৮ ইং ৩% ক্যাশ ডিভিডেন্ড আজও পর্যন্ত পায়নি। কোম্পনির অফিসে শেয়ার ডিপার্টমেন্টে লেয়াকত নামের এক ভদ্রলোকের সাথে যোগাযোগ করেছি,পাঠাচ্ছি পাঠাইতেছি ইত্যাদি বলে বেশ কয়েক বছর ধরে টালবাহানা করছে। লিয়াকত সাহেবকে প্রতিদিনই টানা কল দিতে থাকি কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেনা। পরে যদি অন্য নাম্বার থেকে কল করি তখন তিনি কল রিসিভ করে। তখন তিনি একটি কমন কথা বলে, আপনার বিও নাম্বার ও নাম এসএমএস করেন। এ নিয়ে আমি বেশ কয়েক বার নাম ও বিও নামার এসএমএস করেছি। সর্বশেষ ওনাকে আমি গত ১০ জুলাই ২০১৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ও ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে বিও নাম্বার ও নাম এসএমএস করে পাঠিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এখন ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেনা। তিনি আরো বলেন, এ কোম্পানিটি আমাদের বিনিয়োগকারীদের পাওনা ডিভিডেন্ড নিয়ে জালিয়াতি শুরু করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
একই প্রসঙ্গে একরাম উদ্দিন নামে আরেক জন ভুক্তভোগি বিনিয়োগকারী (বিও নাম্বার: 1301030012908759) অভিযোগ করে বলেন, আমি গত ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৮ সালের ঘোষিত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এখনো পায়নি। কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলেও এতো বছরে কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। কোম্পানির শেয়ার ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদেরতো ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না, কিন্তু অনেক বিনিয়োগকারীকে ডিভিডেন্ডে চেক দিলেও তা ডিজঅনার হয়েছে। আমাদের মতো অনেক বিনিয়োগকারী আছেন যারা এই কোম্পানির ডিভিডেন্ড প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিনটেক্স ইন্ডাট্রিজের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বকতিয়ার ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকমকে বলেন, কুরিয়ার কোম্পানির ভুলে হয়তো এ ধরণের মিসিং হয়ে থাকতে পারে। কেউ যদি ডিভিডেন্ড না পেয়ে থাকে তা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেই আমরা সমাধান করে দেবো।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/এমএইচ