Home / সম্পাদকীয় / ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হোক

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হোক

যদিও পুঁজিবাজারের কোন থিউরির মধ্যে ফ্লোর প্রাইস পড়ে না। যখন বাজার খুব বেশি পরিমাণে পড়ে যেতে চাচ্ছে তখন বিনিয়োগকারীদের স্বস্তির মধ্যে রাখার জন্য স্পেশাল একটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে এই ফ্লোর প্রাইস। এই স্পেশাল ব্যবস্থা একদিকে ঠিক হলেও এভাবে দীর্ঘদিন পুঁজিবাজার চলাটা খুব কঠিন। এখানে কয়েকজনকে মাথায় রেখে জিনিষটা করা হয়েছে যেমন: স্মল ইনভেস্টর, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পোর্টফোলিও ম্যানেজার তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে এই ফ্লোর প্রাইসটা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু ফ্লোর প্রাইস থাকলে প্রথমত ভলিউম হবে না, দ্বিতীয় ইনডেক্সের মুভমেন্ট হবে না। এখন অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করতে চাইছে, জরুরি ভিত্তিতে টাকার প্রয়োজন; কিন্তু যে ফ্লোর প্রাইস পাচ্ছে সেটাতে সেল করতে চাইলেও হচ্ছে না। এতো বড় বড় সিরিয়াল তাতে সিরিয়াল পাওয়াটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে, সেল হচ্ছে না। এতে বাজারে একটি নেগেটিভ প্রভাব ফেলছে।

বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং বড় বিনিয়োগকারীদের কাছেও এই ফ্লোর প্রাইস নেগেটিভ প্রভাব ফেলছে। এই ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বাজারকে বিচার করা মানে ডেথ ম্যান ইসিজি। অর্থাৎ মৃত মানুষের ইসিজি করা যেমন তেমন করেই চলছে পুঁজিবাজার যেখানে কোন প্রাণ নেই। মূল বাজারের যে গতি প্রকৃতি সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

হয়তো ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে বাজারটা একটু ডাউন হবে। আর ডাউন হলেই একটা বিনিয়োগ আসবে। ইনভেষ্টমেন্ট আসলে বাজারটা একটু গতি পাবে। আর এক দেড় মাস পরে বাজার তার অরিজিনাল জায়গাটা খুঁজে পাবে।

যদি ফ্লোর প্রাইস না তোলা হয় তবে বিকল্প আরেকটি কাজ করা যায়। সেটি হচ্ছে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে নিচে ৩% ছাড় দিতে হবে। অর্থাৎ কোন শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ১০০ টাকা হলে সেটি ৩ টাকা পর্যন্ত নিচে নামতে পারবে এবং উপরে ১০% পর্যন্ত যেতে পারবে।

এই কাজটি করলে লিক্যুইডিটি কিছুটা হলেও বাড়বে। কারণ একটা সময় এই ফ্লোর প্রাইস তুলতেই হবে। আর যখনই ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে বাজারটা একটি রিঅ্যাকশন দেবে এবং তা নেগেটিভ হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। তাই যদি ফ্লোর প্রাইস না তোলাও হয় তবুও নিচে ৩% ছাড় দেওয়া উচিত। এতে করে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।

যেমন স্কয়ার ফার্মার ফ্লোর প্রাইস হলো ১৭২.৫০ টাকা। অথচ ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির লাখ লাখ শেয়ার ট্রেড হচ্ছে ১৫৬-১৫৭ টাকায়। কারণ ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইস নেই শুধু সার্কিট ব্রেকার রয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ধরে ১০% ডাউনে ট্রেড হচ্ছে।

এখন বাজারটাকে সত্যিকার অর্থে যদি তার নিজ গতিতে চলতে দিতে হয় তাহলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দিতে হবে। অন্তত পক্ষে ফ্লোর প্রাইস না তুললেও ৩% ডাউন ও ১০% আপ করে দিতে হবে। এটা করলে আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে। যেসকল বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে পারছে না তাদের মধ্যে একটা স্বস্তি আসবে, কিছুটা হলেও  লিক্যুইডিটি বাড়বে। অনেকের সাংসারিক প্রয়োজনে বাজার থেকে প্রতিমাসেই টাকা উত্তোলন করতে হয়। অনেক বিনিয়োগকারীর সংসারের বাজার করার টাকা নেই, হাউজের বেতন দেওয়ার টাকা নেই। তাই মার্কেটকে বাঁচাতে যেমন ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়েছিল ঠিক তেমনি মার্কেট বাঁচাতে আবার ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া দরকার।

ডেইলি শেয়ারবাজার/ম.সা

Check Also

ফ্লোরের পাশাপাশি ২ শতাংশ সার্কিট বহাল রাখা হোক

বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে গেল মাসের শেষের দিকে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ …

One comment

  1. Hello
    Mr sonkor for
    আমি জানি না আপনি 2000 টাকা ডোমেইন আর হোস্টিং খরচ করে সম্পাদক হয়েছেন। আপনি শেয়ার কিছু বুজেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *