
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ABC কম্পানি সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ কোটি শেয়ার নিয়ে পুজিবাজারে আসবে সেখানে যদি ১০ লক্ষ বিনিয়োগকারি ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আবেদন করে তবে প্রত্যেক বিনিয়গকারি ১০টি করে শেয়ার পাবে।অনেক খুদ্র বিনিয়োগকারিরা মনেকরছেন বড় বিনিয়োগকারিরা একটি বিও অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক টাকার আবেদন করবেন যার ফলে তারা অনেক বেশি শেয়ার পাবেন যার ফলে খুদ্র বিনিয়োগকারিরা প্রকৃতপক্ষে কিছুই পাবেনা।
কিন্তু বিষয়টি একদমি সেরকম নয়, কোন কম্পানি আইপিওতে শেয়ার বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রথমে ১০ হাজার টাকার চাঁদাকে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা করে বিবেচনায় নেয়ে শেয়ার বরাদ্দ করা হবে এর পরে যদি অতিরিক্ত থাকে তাহলে সেটা বেশি টাকা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হবে।নতুন নিয়মের বিষয়টি উদাহরণের মাধ্যমে নিচে দেওয়া হলো-
ধরি, ABC কম্পানি ১ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করবে এখন আইপিওতে ১ হাজার আবেদন কারি ২ কোটি টাকার আবেদন করল, এখানে শুরুতে বিবেচনায় নেয়া হবে প্রত্যেকের ১০ হাজার করে চাঁদার পরিমাণ । এক্ষেত্রে ওই ১ হাজার জনের ১০ হাজার করে মোট চাঁদার পরিমাণ হয় ১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এতে ১০ হাজার টাকার উপরে যারা আবেদন করেছেন তারা ওই অতিরিক্ত টাকার আবেদনের জন্য কোন শেয়ার পাবেনা।
আবার যদি ১ হাজার আবেদনকারীর কম আবেদন হত তবে অবিক্রিত থাকা শেয়ারগুলি যারা ১০ হাজারের বেশি চাঁদা জমা দিয়েছিলেন তাদেরকে আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেয়া হবে।
স্মাপ্রতিক আইপিও আবেদনের সংখ্যা বিবেচনা করলে দেখা যায় প্রতিটি আইপিওতে কয়েকগুণ বেশি আবেদন জমা পরে। সে হিসেবে নতুন নিয়মে ১০ হজার টাকার বেশি আবেদন করে হয়ত কোন লাভ হবেনা।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/এম