Home / অর্থনীতি / সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণে করোনা পরবর্তীতে ঊর্ধ্বমূখি পুঁজিবাজার

সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণে করোনা পরবর্তীতে ঊর্ধ্বমূখি পুঁজিবাজার

ডেইলি শেয়ারবাজার রিপোর্ট: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের নেয়া সঠিক পদক্ষেপের কারণে করোনা পরবর্তীতে ঊর্ধ্বমূখি পুঁজিবাজার।

আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি হওয়া সারা বিশ্বাস্যাপী একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বিশ্বব্যাপি কভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বে পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিক দর পতনের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের লেনদেনও এর ব্যতিক্রম নয়। ওই সময়কালে পুঁজিবাজারের লেনদেনও সাময়িকভাবে বন্ধ ছিলো। করোনা পরবর্তীতে পুঁজিবাজার খোলার পর থেকে সরকারের নেয়া কিছু পদক্ষেপের ফলে বাজারে বর্তমান শেয়ার মূল্যের ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

এ সময় মন্ত্রী পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা তথা উন্নয়নের স্বার্থে এবং অস্বাভাবিক দরপতন রোধে সম্প্রতি নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

সংসেদে দেয়া মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শেয়ারের ফ্লোর প্রাইজ সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি, পুঁজিবাজার উন্নয়নে গত জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক, শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত নীতিমালা জারি, পুজিবাজারে বিনিয়োগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন, পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ ইত্যাদি।

বগুড়া-৫ আসনের হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে ১৬ হাজার ১টি শুল্ক মামলার বিপরীতে অনাদায়ী রাজস্বের পরিমাণ সাত হাজার ৫৮৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সাত হাজার ৫৫৫ দশমিক ৭৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার প্রদানে ভারত ও বাংলাদেশ ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২০ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত ৯০৪ দশমিক ৭৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ ছাড় হয়েছে। তবে এই অর্থনৈতিক গতি মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের মেয়াদেই গতি লাভ করেছে। বর্তমান সরকারের সময়ে তিনটি এলওসি চুক্তির আওতায় সাত দশমিক ৫৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সকল ঋণের আওতায় অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। যা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যক্তিখাতের দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে।

ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/এম

Check Also

প্রাইম ব্যাংকের বার্ষিক লভ্যাংশ ঘোষণা

ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: এক্সসিলেন্স এবং ইনোভেশনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *