আমি নিজের বিলাস বহুল বাড়ির পরিবর্তে অসংখ্য স্কুল তৈরি করেছি, দামি পোষাকে ওয়াড্রব ভর্তি না করে অসংখ্য বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দিয়েছি, নিজে দামি গাড়ি চালানোর পরিবর্তে অগণিত স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি, প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে দামি রেস্টুরেন্টে না খেয়ে অগণিত ক্ষুধার্ত শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
একসময় আমি আর ফুটবল খেলতে পারবোনা। বার্ধক্য আসবে। নিঃশ্বাসের ইতি ঘটবে। কিন্তু বাড়ি, গাড়ি, ঘড়ি, ফোন আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেনা। এসব মানুষের নিঃশ্বাসেই হয়তো আমি বেচে থাকবো। আমি শিক্ষিত না । তাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেছি। দরিদ্র ছিলাম বলেই হয়তো জীবনের আসল অর্থ বুঝেছি। কিন্তু দুনিয়ায় আজ যারা বড় শিক্ষিত তারাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্বটা ঠিক ঠাক বুজছেন না। যদি বুঝতেন তবে দুনিয়াতে এতো অভুক্ত শিশু না খেয়ে রাতে ঘুমোতে যেতোনা। মানুষ দিন দিন এভাবে ভোগ বিলাসের কয়েদি হয়ে ওঠতোনা।
লিভারপুলের স্ট্রাইকার মিঃ সাদিও মানে। ইউরোপিয়ান এবং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপের উইনিং মেডেলের অধিকারী। এবার পাশের ছবিটি খুব খেয়াল করে দেখেন। হাতে তাঁর ভাঙ্গা ফোন। এই একটি ফোনই তিনি ব্যবহার করে আসছেন। প্রতি মাসে মাসে নতুন সিরিজের ফোন ব্যবহারের ইচ্ছেতো তার হয়নি বরং এটাকে তিনি বলেছেন- ভোগের কয়েদি হয়ে যাওয়া। অথচ, তিনি লিভারপুলের সবচেয়ে বিগেস্ট আর্নার। যার আয় ইয়ারলি প্রায় ১১.৭ মিলিয়ন ডলার।
এরকম সিম্পল জীবন যাপনের কারণ জানতে চাইলে বলেন-
দশটি ফেরারি গাড়ী, বিশটি ডায়মণ্ড ঘড়ি আর বিলাসবহুল বাড়ি, নিত্যনতুন মডেলের বিলাস সামগ্রী এসব দিয়ে কী হবে। এগুলো শুধু বৈষয়িক অবজেক্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষের রুচি খুবই নিম্নমানের না হলে কেউ বিশ ত্রিশ হাজার ডলারের ঘড়ি হাতে দিয়ে ঘুরবেনা। আর, এসবে আমার এবং সমাজের কি উপকার হবে। যেই মুহুর্তে আমার নিঃশ্বাস শেষ সেই মুহুর্ত থেকে এসবের মালিকানাও শেষ।
ডেইলি শেয়ারবাজার.কম