ডেইলি শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বৈদেশিক আদলে বিশেষ করে উন্নত দেশের মতো আমাদের পুঁজিবাজারও আন্তর্জাতিক মানে পৌছাবে সে স্বপ্ন নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ রেস ম্যানেজমেন্ট পিসিএল এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ড. হাসান ইমাম। তিনি ক্যামব্রীজ ইউনিভার্সিটি থেকে ইকোনমিক্সে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন। মিউচ্যুয়াল ফান্ড তথা পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। বৈদেশিক আদলে যেমন নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি কিংবা জাপানের শেয়ারবাজারের মতো আমাদের দেশিয় শেয়ারবাজারের উন্নয়নের প্রত্যাশা করেন ড. হাসান ইমাম। সেই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলেছেন ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত স্বচ্ছ, সফল একজন উদ্যোক্তা এবং ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব ড. হাসান ইমাম। ফিন্যান্স এবং ব্যাংকিং জীবনে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকা ড. হাসান ইমাম বাংলাদেশ রেস ম্যানেজমেন্ট পিসিএলকে অক্লান্ত পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শুধু রেস ম্যানেজমেন্ট পিসিএল উন্নয়ন করেনি; ইতিমধ্যে কমিশনের অনুমোদন পাওয়া রেস স্পেশাল অপরচুনিটি ইউনিট ফান্ডও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছেন।
দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত সম্পর্কে ড. হাসান ইমাম বলেন, দেশের পুঁজিবাজার ভালো থাকলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও ভালো পারফর্ম করবে। ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজার তিন-চার মাস পর ভালো হয়। আমাদের দেশের ২০০৯-২০১০ সালে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের বিকাশ ঘটেছে। এরপর মার্কেট খারাপ থাকলেও ২০১১ সালে মিউচুয়্যাল ফান্ডের অবস্থা ভালো ছিলো। এরপর ৮-৯ বছর ধরে মার্কেট খারাপ যাচ্ছে। ফলে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতও খারাপ করছে। এরপরও ইউনিট হোল্ডারদের গত ১০ বছরের ৩ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে।
হাসান ইমাম বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কাঠামোগত অনেক সমস্যা আছে, এটা হাস্যকর। কাঠামোর কারণে ৩০০ বছর পুরাতন এটা বেঁচে আছে। ভারত-পাকিস্তান ইউরোপের যেকোন দেশের কাঠামোর মতই আমাদের একই অবকাঠামো। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আইন-১০৭ পাতা। তারপরও ভারতের আইনের চেয়ে ভালো ও সহজ।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে শেয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এটা ঠিক না। অনেকগুলো শেয়ারের সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ড হয়। অথচ এগুলোর এনএভি কত দেখা হয় না। শেয়ার ও এনএভিতে বাংলাদেশে ২০ শতাংশ গ্যাপ রয়েছে। আর মার্কেট যখন খারাপও হয় গ্যাপ বেশি হয়। মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে ধরা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ঝুঁকি কম কিন্তু ঝুঁকিমুক্ত না।
নতুন করে নতুন প্রোডাক্ট আনা দরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নতুন করে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ইন্স্যুরেন্স ও প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করার দরকার। এখানো অর্থমন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসিইসি) এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সহযোগিতার দরকার রয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে আমরাও ভারতের মতই জিডিপিতে ১৩-১৪ শতাংশ অবদান রাখতে পারবো।
তিনি বলেন, জুন মাসে আমাদের ফান্ডগুলোর ইউনিট প্রতি সম্পদ ১০ টাকার নিচে ৭ টাকায় চলে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সবগুলো ১১ টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে এবং কয়েক মাসেই ৪% থেকে ৫% লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা ফেরত পেয়েছে। বাজার ভালো থাকলে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো ডিভিডেন্ড দিতে পারবে বলে জানান ড. হাসান ইমাম।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/মাজ./নি