
ডেইলি শেয়ারবাজার রিপোর্ট: “ইন্ডেক্স এগ্রো” নামের একটি কোম্পানী বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমতি পেয়েছে। এখন এরা কাট অফ প্রাইস নির্ধারনের জন্য বিডিংয়ে যাবে।
প্রশ্ন হলো-বিডিং করবে কে? উত্তর: মার্চেন্ট ব্যাংকগুলি। তারা যে দাম তুলবে- তার অনুপাতে “বুক” প্রাইসের অনুমোদন দেবে বিএসইসি। আপনাদেরতো স্মরণে থাকার কথা, খায়রুল সাহেবের আমলেও তো এমনটি হতো। আইপিও ছাড়ার পর কিছুদিন সেকেন্ডারি মার্কেটে ঐ শেয়ারের ট্রেডিং হতো রমরমা। এরপর পতন শুরু হতো, ঠেকতো তলানীতে এসে। এসময় সবাই খায়রুলের গোষ্ঠি উদ্ধার করতো।
কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা ইতোমধ্যেই হয়ে যেতো। ইন্ডেক্স এগ্রোটির নেট এসেট ভ্যালু এখন বিবেচনা করা সমীচিন হবে না। কতটা প্লেসমেন্ট আর কতটা আইপিও বিক্রি হবে তার উপর ভিত্তি করে এনএভি নির্ধারণ হবে।
তবে এর ইপিএস নাকি ৫.৬০ টাকা। অর্থাৎ অনেক হাই লেভেলে ইপিএস অবস্থান করছে। ফাইন্যান্স যাদের পড়া আছে, তারা নিশ্চয় স্বীকার করবেন যে, এরূপ কোম্পানীকে “লিভারেজড” ইন্ডাস্ট্রি বলা হয়। আর তারা ইকুইটি থেকে “ডেবট রেশিও” বেশী রাখা পছন্দ করে।
তাহলে-কি উদ্দেশ্যে এরা শেয়ারবাজারে আসছে? আর কোন গ্রাউন্ডেই বা এদেরকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেয়া হলো…? প্রশ্নটা বিএসইসি’র কাছে রাখলাম।
লেখক: মো: আলী জামান
শেয়ার বিনিয়োগকারী
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/এমএইচ